ভিডিও

কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে তলিয়ে গেছে দুধকুমার নদের  তীর সংরক্ষণ বাঁধ, ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৪, ০৪:৪০ দুপুর
আপডেট: জুন ২২, ২০২৪, ০৪:৪৩ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :  ভূরুঙ্গামারীতে তলিয়ে গেছে দুধকুমার নদের তীর সংরক্ষণ বাঁধ। ভাঙন আতঙ্কে ইসলামপুর ও নলেয়া গ্রামের তীরবর্তী জনসাধারণ।

জানা যায়,বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলাধীন ইসলামপুর ও নলেয়া এলাকায় দুধকুমার নদের ডান তীর বরাবর ৫০০ মিটার করে ৫টি প্যাকেজে প্রায় ৫২কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬৫ টাকা ব্যয়ে ২৫০০ মিটার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প নেয়। এর মধ্যে প্রকল্পের ঠিকাদার নদের তীর ঘেঁষে প্রায় ১৫ ফুট ফসলি জমির মাটি কেটে তা সরিয়ে তীরের প্রায় ৭ফুট নিচ থেকে কংক্রিটের বোল্ডার ফেলে বাঁধ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করে। ফলে বর্ষার শুরুতেই নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধটি তলিয়ে যায় এবং তীর এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এখন তীর থেকে প্রায় ২০ ফুট দূরে নদের পানিতে তলিয়ে রয়েছে বাঁধটি। ইসলামপুর গ্রামের রুবেল মিয়া (২৮) মেহেদী হাসান (২৫)ও নজরুল ইসলাম(৪৫) জানান, তীরের প্রায় ৭ ফুট নিচ থেকে কাজ শুরু করায় বাঁধ কোন কাজে আসছে না। উল্টো বাঁধ তলিয়ে গিয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। এবিষয়ে প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান  টিআই-পিভিএল-জেডআই জেভি, মগবাজার,ঢাকা এর সাথে যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের কাজ শুরুর তারিখ ১৪ জুলাই এবং সমাপ্তির তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেষ হবার কথা থাকলেও ১১,১২,১৩ ও ১৫ নং প্যাকেজের কাজ  অর্ধেকও সম্পন্ন হয়নি। শুধু তাই নয়, ১৩ নং প্যাকেজের ঠিকাদার কাজটি অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেয়ায় ঐ প্রকল্পের কাজটি এখনো শুরুই হয়নি।

১৫ নং প্যাকেজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রুপান্তর কন্সট্রাকশন এর স্বত্বাধিকারী শামসুল হক জানান, এপ্রকল্পটির প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ তিনি সম্পন্ন করেছেন। বর্ষার পর অবশিষ্ট কাজ শুরু করবেন এবং  অর্থ সংকটের কারণে কাজ বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি জানান।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, ডিজাইন অনুযায়ী বাঁধ নির্মাণের কথা। তারপরও বাঁধ নির্মাণে কোন ত্রুটি হয়েছে কিনা সরেজমিন দেখবো। অর্থ বরাদ্দ নিয়ে সমস্যার কারণে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS